অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : পদ্মা সেতুর সড়কপথ চালুর ১০ মাসের মাথায় আজ মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) পদ্মা সেতু দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। এদিন ৪১ কিলোমিটার রেলপথে পরীক্ষামূলকভাবে চলাচল করবে ৭ বগির বিশেষ ট্রেনটি।
প্রকৌশলীরা জানান, বুধবার (২৯ মার্চ) রেলপথের সবশেষ ৭ মিটার অংশের ঢালাই দেওয়ার মাধ্যমে কাজ সমাপ্ত হয়। শুক্রবার (৩১ মার্চ) বিকেলে প্রকৌশলীদের পরীক্ষায় পুরো সেতুতে ট্রেন চলার জন্য উপযোগী হয়ে উঠেছে বলে নিশ্চিত করা হয়। বিশ্বমানের করে প্রস্তুত করা হয়েছে পদ্মা সেতুর রেলপথ। শত বছরেরও বেশি সময় টেকসই থাকবে রেলপথটি।
অনুষ্ঠানে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, স্থানীয় সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, ইকবাল হোসেন অপু, নাঈম রাজ্জাক, আব্দুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কনসট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্টের (সিএসসি) তত্ত্বাবধানে চলছে পদ্মা সেতুর এই রেলসংযোগ প্রকল্পের কাজ। আর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন। পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, ‘আগামী বছর প্রকল্পটি জুন-মাসের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে। আমরা এরই মধ্যে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত শতভাগ কাজ শেষ করেছি। রেলসংযোগ নির্মাণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।’
পদ্মা সেতুর রেল লিংক প্রকল্পের মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার সাঈদ আহমেদ বলেন, ‘৪ এপ্রিল রেলমন্ত্রী আমাদের সময় দিয়েছেন বলে সেদিন আমরা গ্যাংকার দিয়ে ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৪১ কিলোমিটার রেলপথ পরীক্ষা করে দেখবো। এ পথে ডিজাইন-স্পিড ১২০ কিলোমিটার থাকলেও ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে পরীক্ষামূলক টেস্ট চালানো হবে।’
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের আওতায় রেল লিংক প্রকল্পের অধীনে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের ঠিকাদার চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (সিআরইসি)। এই প্রকল্পের কাজ তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে ঢাকা থেকে মাওয়া, মাওয়া থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর।
Leave a Reply